বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

স্ববিরোধী বক্তব্য

স্ববিরোধী বক্তব্য
কথিত আহলে নামধারী আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান নামক এক ভাই একটি প্রবন্ধ লিখেছেন “আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন” নামে।

উক্ত প্রবন্ধটির শুরুতে লেখক বলেন-

“কোরআন ও সহিহ হাদীসে আল্লাহ তাআলার যে সমস্ত সিফাতের কথা বলা হয়েছে তার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। তাঁর সিফাতসমূহের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করা, অথবা তার কিছু সিফাতকে যেভাবে আছে সেভাবেই স্বীকার করা আর কিছুকে পরিবর্তন করে বিশ্বাস করা কিছুতেই জায়েয হবে না”।
তিনি দাবি করছেনকুরআন ও হাদীসে বর্ণিত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কোন সিফাত যেভাবে বর্ণিত হুবহু সেই অবস্থায় বিশ্বাস করতে হবে,পরিবর্তন করে ব্যাখ্যা করা যাবে না।

কিন্তু আফসোস ও হাস্যকর বিষয় হল তিনি নিজেই প্রবন্ধের শেষ দিকে আল্লাহ তাআলার সর্বত্র বিরাজমানতার স্পষ্ট প্রমাণবাহী আয়াতকে মূল অর্থ পাল্টে মনগড়া ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন-

“আল্লাহ তাআলার বাণী:

وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ(الحديد 4)

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।

অত্র আয়াতের ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তফসীরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই ব্যখ্যা প্রদান করে”।
বিজ্ঞ পাঠকগণ! লক্ষ্য করুন! আয়াতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যেআমরা যেখানেই থাকি না কেনআল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সাথেই আছেনযার স্পষ্ট অর্থ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বত্র রয়েছেন।
কিন্তু এ স্পষ্ট অর্থবোধক আয়াতকে ব্যাখ্যা ছাড়া হুবহু বিশ্বাস না করে পাল্টে তিনি ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বত্র বিরাজমান নন,বরং দেখা ও শ্রবণ শক্তি রয়েছে সর্বত্র।

দেখা ও শ্রবণ দ্বারা বিরাজমানব্যাখ্যা করার দ্বারা তিনি তার নিজের ফাতওয়া অনুযায়ীই না জায়েজ কাজটি করেছেন। তাই নয়কি?

কারণ তিনিইতো আগে বললেন যেআল্লাহর সিফাত সম্বলিত আয়াত বা হাদীসকে হুবহু বিশ্বাস করতে হবেব্যাখ্যা করা জায়েজ নেই। অথচ তিনি নিজেই স্ববিরোধী হয়ে সূরা হাদীদের ৪ নং আয়াতকে দেখা ও শ্রবণ দ্বারা বিরাজমানশব্দে ব্যাখ্যা করে না জায়েজ কাজ করলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Abdul Kadir

Assalamu Alaikum

“ইসলামে সালাতের গুরুত্ব এতই সুমহান যে বসে থেকে সালাতের জন্য অপেক্ষা করাও একটি ইবাদাত!” — শাইখ সালিহ আল ফাওজান [ফাদাইল আস সলাহ, পৃ ১৩]